অর্ক

  • অর্ক! এদিকে আয় তো একবার।
  • হুম! আসছি।
  • আরে এই! কখন আসবি?
  • এই যে পাঁচ মিনিট।
  • উফফ! কখন থেকে চিৎকার করছি আর এই ছেলেটা না একেবারে… ওমা! তুই এখনও বই নিয়ে বসে, এইজন্য আমার কথা তুই শুনতে পাচ্ছিস না বল!
  • আরে! ঐশী আর একটু বাকি। বই বন্ধ করে দিলি কেন? দে না বইটা…
  • আগে তুই আমার কথা শুনবি তারপর যতখুশি বই পড়িস।
  • আচ্ছা বেশ। বল কী বলবি?
  • তুই পুরো সপ্তাহ অফিসের কাজ তারপর বাড়ির কাজ, এসব করে সময় কাটিয়ে দিস। আর আমি তো শুধু বাড়িতে থাকি। তাই…
  • হ্যাঁ, সে তো জানি। তুই যে একা বাড়ীতে থেকে বড্ড বিরক্ত হস সেটাও বুঝি।
  • হ্যাঁ! তাই বলছি যে, আমি একটু ছোটো খাটো কোনো কাজ করতে পারি? না মানে, আমি জানি প্রয়োজন নেই। কিন্তু বাড়িতে একা বসে থাকতে একদম ভালো লাগে না।
  • আরিব্বাস! আমি নিজেই তোর সাথে এই বিষয়ে কথা বলতাম। দেখেছিস তোর আর আমার কত মিল!
  • এই তুই সত্যি রাজি! বল না, বল না…
  • আরে বাবা হ্যাঁ! রাজি না হবার কোনো মানেই হয় না। তোর যেটা ইচ্ছে হয় করিস বুঝলি ক্ষেপি! তবে একটা শর্ত আছে।
  • কী শর্ত আবার?
  • দিনের শেষে বাড়ি ফিরে আমার নির্ধারিত সময়টুকু আমাকে দিতে হবে কিন্তু বলে রাখলাম।
  • না দেবোনা তোকে সময় যা তো… আজ রবিবার তা সত্বেও দেখ! তুই আমায় সময় না দিয়ে দিব্যি একা একা বই পড়ছিস।
  • উহু! ম্যাডাম। আপনি ভুলে যাচ্ছেন যে, এই বইটা আমি গত এক সপ্তাহ ধরে শেষ করার চেষ্টা করছি। আজ সময় হলো তাই ভাবলাম সেরে ফেলি।
  • হ্যাঁ সেই তো। তাবলে বউকে একটু সময় দিবিনা অদ্ভুত!
  • হ্যাঁ দেবো তো অবশ্যই।
  • আরে আরে! পরে যাবো তো। এভাবে কে টান মারে? ভাগ্যিস তুই আছিস নইলে তো নাকটা যেত আমার।
  • আমি সবসময় আছি বুঝলি! আর নাক তোর এমনিতেই নেই আবার যাবে কোথায়?
  • মারবো একটা চাটি। চুপচাপ নিজের কাজ কর।
  • হ্যাঁ, এবার একটু বইটা পড়ি। তুই চুপ করে আমার পাশে বসে শোন।
  • এমা! না না। মেলা কাজ বাকি আমার।
  • চুপ করে বস মানে বস। ওতো কথা শুনবো না তোর আমি।
  • আচ্ছা ঠিক আছে। কতো মানুষ এভাবেই একে অপরকে বুঝে নিয়ে মানিয়ে নেয়। এখনও এভাবে গল্প শুনিয়ে প্রেমালাপ করা যায়। এভাবেও ছোটো ছোটো আবদারগুলো প্রিয় মানুষের কাছে তুলে ধরা যায়। শুধু একটা বোঝার মানুষের প্রয়োজন হয়।

কলমে – ভূমিকা
এডিট : সায়নী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *