- তোর কি হাতে পাঁচটা মিনিট সময় আছে?
- আরে এইভাবে না বলে যা বলার তাড়াতাড়ি বলো।
- না বয়সটা তো কম হল না, তো বিয়ে কি করবি না ভাবছিস?
- মা আাবার সেই বিয়ে… উফ্! ছাড়ো তো ভালো লাগছে না। তোমায় তো বললাম আমি…
- আজ আমি চুপ করেই তোর ২৬টা বছর পার হয়ে গেল। কিন্তুু আমি আর চুপ থাকতে পারছি না রে।
- না মানে তুমি কি বলতে চাইছ আমায় এখনই বিয়ে করতে হবে? তাই তো!
- দেখ তুই ২১ বছরের নয় কিংবা নাবালিকা নয় যে তোর বিয়ে দিতে চেয়েছি বলে অন্যায় করে ফেলেছি আমি।
- না মা, তুমি কোনো অন্যায় করো না। সব ভুল আমার। তুমি জানো আমার চাকরি করাটা একটা স্বপ্ন। আর আমি তো চেষ্টা করে যাচ্ছি, একটা ভালো চাকরি পেলেই অভির বাড়ির সাথে কথা বলবে তুমি।
- অভি তোর জন্য কতদিন অপেক্ষা করবে বলতে পারিস? না এটা ভবিস না অভি আমায় কিছু বলেছে। কিন্তুু ও ভালো ছেলে বলে তুই ওর সুযোগ নিবি এমন তো হয় না।
- মা, অভি জানে আমার সরকারী চাকরি করার খুব ইচ্ছে আর ও আমার ইচ্ছেটার সম্মান দেয়।
- তাহলে তুই বিয়ে করবি না তাই তো?
- মা, একটা ছেলে যদি হতাম তাহলে চাকরি না পেলে তুমি আমার বিয়ের কথা ভাবতে পারতে? যেহেতু আমি একটা মেয়ে আর সেই জায়গায় অভি প্রতিষ্ঠিত সেই জন্য আমি বিয়ে করে ফেলব! কেন এটা বোঝ না যে এখন একটা ছেলের নিজের পায়ে দাঁড়ানো যতটা দরকার ঠিক ততোটাই একটা মেয়েরও নিজের পায়ে দাঁড়ানোটা দরকার। তবেই তাদের বিয়ে হওয়া উচিৎ।
- সব বুঝলাম। যদি তুই চাকরি না পাস কোনোদিন তখন কী করবি ভেবেছিস?
- মা আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি, না পেলে প্রাইভেট তো পাব, সেটাই করব। কিন্তুু বিয়ে হয়ে গেলে যে চেষ্টাটা এখন করছি সেই অতটা চেষ্টা থাকবে না। তুমি তো আমার বুঝদার মা, তুমি আমার এমন মা নও যে মেয়েকে পড়াশোনা করতে দেবে না। আত্মীয়স্বজনের কথা ভেব না,।ওরা কিন্তুু তোমায় দেখবে না খালি পরচর্চা করবে।
- মুনিয়া…
- হ্যাঁ মা, আমি জানি তুমি আমার উন্নতিতে বেশি খুশি হবে, কিন্তুু আত্মীয়স্বজনের কথাগুলোই তুমি বললে আমায়, এগুলো আমার মায়ের কথা নয়।
- থাক! হয়েছে। আর তেল মারতে হবে না। ঠিক করে যাস। আমার হয়েছে যত জ্বালা বাপু!
- তুমি তো আমার সব চেয়ে মিষ্টি মা। আসছি।
লেখায়- অয়ন্তিকা
এডিট – সৌভিক