- এই নে… এই ওড়নাটা সামনে জড়িয়ে নে…
- কেন পিসি? হটাৎ ওড়না দেবো কেনো? আর এই জামাটার সাথে তো ওড়না নেই… তবে?
- না, নেই… অত সময় নেই মা, তুই তাড়াতাড়ি পরে নে তো।
- আরে আগে তুমি বলো… তারপরে নয় পড়বো!
- উফফ! ওড়নাটা সামনে নিলে একটু রোগা লাগবে এই যা।
- কি?
- হ্যাঁ ; এমনি যা গতরে হয়েছিস লোকে দেখলে পিছনে হাসে। আর যাও বা এবারে একটা সন্মন্ধ এসেছে এইভাবে গেলে না আবার ভেঙে দেয়, নয় নয় করে তো কম সম্মন্ধ এলো না!
- হাহাহাহা!
- কীরে! অমন পাগলের মতন হাসছিস কেন?
- তোমার কথা শুনে প্রথমে হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছিলাম না, বাট এখন পারছি।
- আমি কি এমন হাসির কথা বললাম শুনি?
- তুমি এইযে প্রত্যেক মাসে বারণ করা সত্ত্বেও বোকা বোকা সম্মন্ধগুলো নিয়ে হাজির করো আর কিছু আনএথিক্যাল প্রপোজাল দিয়ে বসো না; যে না হেসে আর পারা যায় না। নেহাৎ তুমি আমার গুরুজন তাই তোমার সব কথা মানি তবে এমন কিছু বলো না যেটা শুনে তোমার প্রতি সেই ভালোবাসাটা নষ্ট হয়।
- এমন বড়ো বড়ো কথা বলছিস যে, আমি কি এমন ভুল বলেছি শুনি!
- মোটা হলে যদি কেউ আমার সাথে সম্পর্ক তৈরি করার আগেই পিছিয়ে যায়, বা আড়ালে আমাকে দেখে হাসে তবে পরবর্তীকালে যদি আমি তোমাদের মতে নিজেকে ওই সো কলড “অ্যাট্রাকটিভ” আর “সুন্দরী” তৈরিও করি, তাহলেও আমি তাদের ডিজার্ভ করব না। কারণ অফ কোর্স, লাইফটা আমার, আমি ইনডিপেনডেন্ট, আমি কিরকম থাকবো বা নিজেকে কিরকম রাখবো সেই ডিসিশন বা চয়েসটা আমারই হবে।
- ম…মানে?
- বুঝলে না? অন্য কারোর ভালোলাগার জন্য নিজেকে আমি সেই হিসেবে সাজাতে পারবো না গো, সরি।
I love myself and I’m Happy in my way!
প্লিজ আর কাউকে এনে লোক হাসিও না আর যাওয়ার সময় ওড়নাটা নিয়ে যেও! এটা না ঠিক আমাকে মানাচ্ছে না!
লেখায়- তৃষ্ণিমা
এডিট – সায়নী